স্টাফ রিপোর্টার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা সীমান্তে শূন্যরেখা থেকে ৩০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা করেছে বিএসএফ। তবে বিজিবির বাধায় কাজ বন্ধ রেখে চলে গেছেন প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
পতাকা বৈঠকের পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী কাজ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী ও স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে পাঁচবিবি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটল।
মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার পর বিকালে পতাকা বৈঠক শেষে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ বলেন, বৈঠকে বিএসএফ কাজ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিন সকালে উপজেলার হাটখোলা বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা গ্রামের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনার তথ্য দেনে তিনি।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার সকালেও কিরণগঞ্জ ও চৌকা সীমান্তের মধ্যবর্তী কালীগঞ্জ মৌজায় উৎসুক জনতা ভিড় করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। সোমবার থেকে কৃষক সেখানে কাজে ফিরলেও সংখ্যা ছিল খুবই কম।
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলারই বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বৈষ্ণব নগর থানার সুখদেবপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মৃত পাতিয়া নদীর উন্মুক্ত স্থানে বিএসএফরে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি নিয়ে উত্তেজান ছড়ায়।
সেদিনও বিজিবির তীব্র আপত্তির মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ। এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী দুইদেশের জনসাধারণের মাঝেও উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পতাকা বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে স্থানীয়রা ক্ষেতে কাজ করা কমিয়ে দেয়।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেয়।
এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ‘দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী গঠনমূলক আলোচনার’ মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছি।”