লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ১৪৯ রানের। তানজিদ হাসান তামিমের বিধ্বংসী ইনিংসে সেটা আরও সহজ হয়ে গেলো ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য। ৫৪ বলে ৩ চার আর ৭ ছক্কায় ৯০ রানে অপরাজিত থাকলেন এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
চিটাগং কিংসকে ৮ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে হেসেখেলে হারালো ঢাকা ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচে এটি ঢাকার তৃতীয় জয়। এতে করে তারা উঠে এসেছে সেরা চারে। ফলে এখনও প্লে-অফের আশা বেঁচে রয়েছে শাকিব খানের মালিকানাধীন দলটির। অন্যদিকে নয় ম্যাচে চতুর্থ হার দেখলো চিটাগং, তারা তালিকার তিন নম্বরে।
রান তাড়ায় ভালো সূচনা পায় ঢাকা। লিটন দাস আর তানজিদ হাসান তামিম ৯ ওভারে তুলে দেন ৭৫ রান। লিটন অবশ্য ধীরগতির ছিলেন। ২৮ বলে ২৫ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তবে মারকুটে ভঙ্গিমায় ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম, ২৮ বলে। এর মধ্যে মুনিম শাহরিয়ার ১৮ বলে ১২ রানের টেস্ট ইনিংস খেলেন। তবে তানজিদ তামিম দারুণ খেলে গেছেন শেষ পর্যন্ত। কপাল মন্দ, দল জিতে যাওয়ায় সেঞ্চুরিটা করতে পারেননি। তামিম করেন ৫৪ বলে হার না মানা ৯০, সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৪ রানে।
এর আগে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানেই থেমে যায় চিটাগং কিংসের ইনিংস। দলের ব্যাটারদের কেউ ফিফটিও করতে পারেননি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরগতির করে চিটাগং। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ বলে ৪০ রান করেন দুই ওপেনার নাইম ইসলাম ও জুবাইদ আকবরী।
১৯ বলে ২৩ রান করে মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হয়ে ফেরত যান জুবাইদ। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ৩১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে রানের গতি কিছু বাড়িয়ে তোলেন নাইম। ১৮ বলে ১৯ রান করেন গ্রাহাম।
১৬ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন শামীম হোসেন। চিটাগংয়ের পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলী করেন ১১ বলে ১৬ রান। শেষ দিকে ৮ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এতে চিটাগংয়ের পুঁজি দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৮ রান।
মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ রানে আর নাজমুল ইসলাম অপু ২৭ রানে নেন ২টি করে উইকেট।