সরকারের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন সদস্যরা আগামী বুধবার শপথ গ্রহণ করবেন, যা দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
সরকারি সূত্র মতে, উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রসারণের মূল কারণ হলো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সংযুক্তি। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ব্যক্তিদের এই পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গতি আনতে এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে নতুন উপদেষ্টাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। সরকার বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের এই পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, যাতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।
নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ফলে সরকারের বিভিন্ন নীতিমালার বাস্তবায়ন আরও কার্যকর হবে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন উপদেষ্টারা কীভাবে ভূমিকা রাখবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নতুন উপদেষ্টাদের মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা আরও সুসংগঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের মূল কাজগুলোর মধ্যে থাকবে:
নীতি নির্ধারণে সহায়তা করা: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা। উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরামর্শ দেওয়া: দেশের অবকাঠামো, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে দিকনির্দেশনা প্রদান। প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি: সরকারি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করা। সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখা: নানান সেক্টরে উদ্ভূত সমস্যা দ্রুত সমাধানের কৌশল নির্ধারণ করা।
আগামী বুধবার নতুন উপদেষ্টারা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করবেন।
শপথ গ্রহণের পর উপদেষ্টারা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং পরবর্তীতে তাদের দায়িত্ব ও কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রসারণ নিয়ে বিভিন্ন মহল ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর মতে, উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রসারণ কতটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে সাধারণ জনগণ এবং বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা, নতুন উপদেষ্টারা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।