জাতীয় পরিচয়পত্র / সম্পর্কিত বিষয়ে সরকারকে লিখিতভাবে মতামত জানানো হবে: ইসি

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চেয়ারম্যান, কাজী হাবিবুল আউয়াল, জানিয়েছেন যে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিষয়ে সরকারের প্রতি নির্বাচন কমিশন শীঘ্রই লিখিত মতামত প্রদান করবে। তিনি এ কথা উল্লেখ করেছেন যে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন একসঙ্গে কাজ করছে এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে এনআইডি’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এনআইডি হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যা দেশের নাগরিকদের পরিচয় নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেস তৈরি করা হয়, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। বর্তমানে, বাংলাদেশে এনআইডি’র গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে। তাই এনআইডি ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মতামত সরকারের কাছে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

এনআইডি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আসছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের মতামত জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন যে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং আইনগতভাবে সচেতন।

এই বিষয়ে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো দেশের বিভিন্ন স্থানে এনআইডি তৈরি, বিতরণ ও সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এনআইডি’র সঠিক বিতরণ ও তথ্য হালনাগাদ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সঠিক পরিচয়পত্র ছাড়া নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা সম্ভব নয়, তাই সরকারের এনআইডি সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রতি নির্বাচনী কমিশনের দৃষ্টি অত্যন্ত নিবদ্ধ।

এনআইডি’র সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কিছু নির্দেশিকা রয়েছে, যা নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে প্রস্তাব করতে পারে। এসব নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনিয়ম যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এছাড়া, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে, যাতে তারা এনআইডি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং জনগণকে সঠিকভাবে সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়। কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়েও সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার উপর জোর দিয়েছেন।

সবশেষে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এনআইডি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি কোনো প্রযুক্তিগত বা আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হয়, তবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একসঙ্গে সমাধান বের করার চেষ্টা করবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য তারা সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করা এবং নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য পালনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও বাড়ছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরা চাই এনআইডির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিকের পরিচয় সঠিকভাবে যাচাই করা হোক এবং জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত থাকুক।”

এভাবে, এনআইডির ব্যবহার ও তার সাথে সম্পর্কিত নীতিমালা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে মতামত পাঠানো হবে, তা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ