চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ও সোমবার (৩ জুলাই) সকালে সদর উপজেলা, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার প্রসাদপুর হটাৎপাড়া গ্রামের মো. আজিজুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের চামা মুশরিভুজা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৬০), একই উপজেলার কৃষক ওমর আলী ও সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. জহরুল (৩৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার প্রসাদপুর হটাৎপাড়া গ্রামের মো. আজিজুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫) নিজ বাড়িতে মোবাইল ফোন চালানোর সময় বজ্রপাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের লোকজন তাকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের চামা মুশরিভুজা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন ধানের জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অন্যদিকে, আজ সকালে একই সময়ে সদর উপজেলার জামতলা এলাকায় ধানের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওমর আলী নামের এক কৃষক। তিনি ভোলাহাট উপজেলার বাসিন্দা।
এর আগে গতকাল রোববার মধ্যরাতে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া গ্রামে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. জহরুল। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পথে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
চারজন নিহতের বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন, গোমস্তাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ও ভোলাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।