Search
Close this search box.

ঢাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারী আটক

রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৪১ হাজার পিস ইয়াবাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন রোহিঙ্গা নারীও রয়েছেন।

আটকরা হলেন সাধন তনচংগ্যা (২৫), ফাতেমা (৩৫), মোছা. মমিনা বেগম (২০), ইয়াকুব আলী (৪০), নাঈম (২৪)। এই পাঁচজনকে আলাদা তিনটি অভিযানে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর)।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মাদক বহন করার সঙ্গে জড়িতরা নতুন নতুন রুট তৈরি করছে। এই রুট দিয়েই রাজধানীতে ইয়াবা নিয়ে আসছে তারা। সেই ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এই ইয়াবা পাচার হয় বেশি।

আটকদের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশের আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারীও রয়েছেন। টাকার বিনিময়ে এই নারী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় আসেন।

ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, মমিনা মিয়ানমারের নাগরিক ও ফাতেমা বাংলাদেশের নাগরিক। এই দুজন কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় আসছিলেন লঞ্চে করে। তারা চাঁদপুর হয়ে সদরঘাট দিয়ে ঢাকায় আসেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সদরঘাট থেকে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।

তিনি বলেন, রাজধানীর গাবতলী দিয়ে বিশাল অঙ্কের মাদক উত্তরবঙ্গে যাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে চায়ের দোকানি সেজে গাবতলীতে অবস্থান নেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাধন তনচংগ্যাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নারীদের পেটি কোটের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ইয়াবাগুলো লুকানো ছিল।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, মূলত ইয়াবাগুলো যাচ্ছিলো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও এবং রংপুরের দিকে। সেখানে এই ইয়াবা পৌঁছে দেওয়া তনচংগ্যায়ের কাজ। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে রাঙ্গামাটি দিয়ে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে আসতেন। তারপর উত্তরবঙ্গে পাঠাতেন অন্য লোকের মাধ্যমে।

আরেকটি ঘটনা ছিল পুরোপুরি ভ্রমণের কায়দায়। আটক ইয়াকুব আলী মোটরসাইকেলে বিভিন্ন জেলা ট্রাভেল করে এমন একটি বেশভূষা ধরে চলাফেরা করতেন। তিনি কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিতেন।

অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আটকের পর প্রথমে ইয়াকুব ইয়াবার কথা অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি একজন পেশাদার ইয়াবা বিক্রেতা। ইয়াবা এনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলো বিক্রি করতেন।

ডিএনসির এই কর্মকর্তা বলেন, আটকদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের পেছনে যারা রয়েছেন তাদেরও খুঁজে বের করতে পারলে আশা করি ইয়াবার চালানের মূল যারা তাদের খুঁজে বের করা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। ক্যাম্প থেকে বের হয়ে আসছেন। এদের ধরা কঠিন। কারণ তারা বিভিন্ন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে ইয়াবার চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ