পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বত্রই দায়িত্ব পালন করে থাকি। এবারও আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামীতেও সবাইকে নিয়ে দেশের জন্য একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স মাঠে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, একটা সময় দেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের হোলি খেলা চলছিল। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে দায়িত্ব পালন করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যার কারণে একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে, সর্বস্তরে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।
আলোচনা সভায় পুলিশ প্রধান বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে যেকোনো মানুষকে দ্রুততম সময়ে সেবা দিতে আমরা সক্ষম। সাধারণ মানুষ যেকোনো বিপদে পড়লে, এমনকি সাগরে বিপদে পড়লেও ৯৯৯ এ ফোন করে নিজের জীবনকে রক্ষা করতে পারে। আমরা অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে রেসপন্স করে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সহায়তায় মানুষের সেবায় কাজ করছি।
তিনি জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে এক বছরে ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮টি কল আমরা পেয়েছি। প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজারের বেশি কল পাই। এটা স্থাপন হওয়া থেকে এ পর্যন্ত ৪ কোটি কল রিসিভ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সঙ্গে নিজের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ ডলার। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার। প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেট বেড়েছে ১২ গুণ, জিডিপি বেড়েছে ১২ গুণ, রিজার্ভ বেড়েছে ৩৩ গুণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যেই একটা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো যায়।
এসময় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ব্যাপারে কোনো তথ্য থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশকে জানানোরও আহবান জানান পুলিশ প্রধান।
আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ অতিরিক্ত ডিআইজি রেজাউল আলম, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।