মাদারীপুরে জামায়াতের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের ঠাকুর বাড়ি জামে মসজিদ পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আটককৃতরা হলেন, মাদারীপুর শহরের গোলাবাড়ি এলাকার মৃত মানিক ফকিরের ছেলে আইয়ুব আলী, সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার কেতাব আলী আকনের ছেলে আব্দুল হাই আকন, পূর্ব চরনাচনা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেন সিকদারের ছেলে মো. রওশন আলী সিকদার, ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা এলাকার মৃত কালু মুনশির ছেলে মো. ইদ্রিস মুনশি, একই এলাকার মৃত মো. সেকান্দর আলী হাওলাদারের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন, রাজৈর উপজেলার দীঘলিয়া কাসিমপুর এলাকার আক্কাস মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম, মোল্লাকান্দি এলাকার হাবিবুর রহমান মিয়ার ছেলে ফারুক হোসেন মিয়া, আদর্শগ্রাম এলাকার মৃত সোহরাব উদ্দিন বেপারীর ছেলে নাজিমউদ্দীন বেপারী। এর মধ্যে ইব্রাহীম রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামির সভাপতি। অন্যরা রাজৈর, ডাসার ও সদর উপজেলার দায়িত্বশীল কর্মী ও সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সামনে নির্বাচন ঘিরে জেলায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী একটি গোপন মিটিং করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দুধখালী ইউনিয়নের ঠাঁকুর বাড়ি জামে মসজিদ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মকলেসুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন একটি খোলা স্থান থেকে জামায়াতের ৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। একই সময় দৌঁড়ে পালিয়ে যান সংগঠনটির আরও কয়েকজন নেতাকর্মী। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও তাদের দলে যোগ দেওয়ার সদস্য ফরম জব্দ করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে গোপনে সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, জামায়াতের নেতাকর্মীরা দলগত হয়ে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছিল। আমরা আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোনো মামলা নেই।’