৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারী সংগঠন। সারা দেশের মত নারায়ণগঞ্জেরও চারটি ডিপোতে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এসব সংগঠন যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করছে।
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার পদ্মা ও যমুনা দুটি ডিপো এবং সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ও এসও বার্মা স্ট্যান্ড এ দুটি ডিপো মিলে মোট ৪টি ডিপোতে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আন্দোনকারী সংগঠনের নেতারা জানান, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫০ শতাংশ করতে হবে। জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুষ্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে। ট্যাংকলরী ভাড়ার উপর ভ্যাট সংযুক্ত নাই ও ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফ ২৫ বছরের ঊর্ধ্ব নির্ধারণ পূর্বক পৃথক ভাবে সুষ্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে বলে দাবি জানান নেতারা।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের এ চারটি ডিপো থেকে প্রতিদিন ৮শ’ গাড়ি জ্বালানি তেল ঢাকা বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপো থেকে বিমানে ব্যাবহৃত ১৫০টি গাড়ি জেট ফুয়েল প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়। এ চারটি ডিপো থেকে আরও ৬৫০ গাড়ি পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরাসিন ও ফার্নিস অয়েল সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট খুলনার খালিশপুরে ট্যাংকলরি ভবনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সমন্বয়ে এক সভায় তিন সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।