বিরল প্রজাতির ২টি মুখ পোড়া হনুমান ও ১৬টি কাছিম উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। এসময় পুলিশ আহাদুজ্জামান রাজু (৪২) নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আহাদুজ্জামান রাজু খুলনা কোতোয়ালি থানার মো. আবদুল হালিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (০৮ অক্টোবর) ফেনী মডেল থানা পুলিশ ও ফেনী জেলা বন বিভাগের যৌথ সহায়তায় ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগে অবস্থিত কাজীরবাগ ইকোপার্কের পুকুরে ১৬টি কাছিম অবমুক্ত করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত হনুমান ২টি ফেনী সদর উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।এসময় ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অ্যাপস মো. শাহাদাৎ হোসেন, ফেনী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান, ফেনী সদর উপজেলা বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক ও ফেনী বন্যপ্রাণী রিস্কিউ টিমের প্রধান সমন্বয়ক সায়মুন ফারাবী উপস্থিত ছিলেন।পুলিশ সূএে জানা যায়, গত শনিবার দিবাগত ড়াটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কিছু সংখ্যক বন্যপ্রাণি হনুমান ও কাছিম নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের দিক থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছে। এসময় পুলিশের একটি আভিযানিক দল ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী থানার লালপুল এলাকায় অবস্থান নিয়ে একটি গাড়িকে থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এসময় গাড়ির মালামাল রাখার বাক্স থেকে খাঁচায় বন্দি ২টি মুখ পোড়া বিরল প্রজাতির হনুমান ও চটের বস্তার ভেতর বিপন্ন প্রজাতির ১৬টি কাছিম উদ্ধার করে। এসময় গাড়ির সুপার ভাইজার আহাদুজ্জামান রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। জানতে চাওয়া হলে সে বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণির ক্রয় বিক্রয়ের কোনও লাইসেন্স ও পারমিট দেখাতে পারেনি। এসব বন্যপ্রাণি ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে রাখা বা আমদানি রপ্তানি করা উভয়ই আইনত অপরাধ।