পঞ্চম দিনের মতো চলছে পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার উদ্ধার অভিযান। চতুর্থ দিনও রজনীগন্ধা উদ্ধারে উদ্ধাকারী জাহাজ হামজা, রুস্তম ও প্রত্যয় মিলেও উদ্ধার করতে পারেনি।
প্রশ্ন উঠেছে নৌ পরিবহন বিভাগের সক্ষমতা নিয়ে। সন্ধান মেলেনি ফেরি ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জাহাজের সহকারী মাস্টার হুমায়ন কবিরের।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ৫ম দিনের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্টরা।
তিনটি উদ্ধারকারী জাহাজ একসঙ্গে মিলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করলেও ডুবে যাওয়া উল্টো হয়ে যাওয়া ফেরিটি এখনও সোজা করতে পারেনি। তবে সোজা করার জন্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষরা।
এর আগে ১ম দিন ও ২য় দিন উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা মিলে ডুবে যাওয়া ৯টি মালবাহী ট্রাকের মধ্যে তিনটি ট্রাক উদ্ধার হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে উদ্ধার অভিযানে কোন সফলতা আসেনি।
বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাহ জাহান জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতা প্রতিটির ৬০ টন করে। আর প্রত্যয়ের সক্ষমতা ২৫০ টন। সেক্ষেত্রে তিন জাহাজ একত্রে চেষ্টা করলে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, রোববার ঘাটে থাকা তিনটি উদ্ধারকারী জাহাজ মিলে উদ্ধার কার্যক্রম সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু করেছে। আশা করছি উদ্ধার কার্যক্রমে ভালো অগ্রগতি আসবে।
বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরিটি সোজা করতে তিনটি হুক পরানো হচ্ছে। এরপর ফেরিটি তুলার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ইতোপূর্বে এই পাটুরিয়া ঘাটেরই পাঁচ নম্বর ঘাটে ডুবে যায় রো রো ফেরি আমানত শাহ। তখনই কেন কর্তৃপক্ষ সচেতন হলো না। কেন চলাচলে আনফিট ফেরি চালানো হচ্ছে। ইত্যাদি প্রশ্ন ট্রাক চালক, মালিক, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলের।
বিআইডব্লিউটিএ-এর আরিচা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক ৯ (এসিপিএস) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন তত্ত্বাবধায়ক শেখ রবিউল ইসলাম জানান, সারা বাংলাদেশে মোট চারটি উদ্ধার জাহাজ আছে। এদের মধ্যে রুস্তম-৫০টন (নতুন কালে ছিল ৬০ টন ), হামজা-৫০ টন (নতুন কালে ছিল ৬০টন ), প্রত্যয়-২৫০ টন এবং দুবার-২৫০ টন উদ্ধার ক্ষমতা আছে। অপর দিকে রো রো ফেরির ওজন ৭৫০ টন। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৯টি এবং কাজিরহাট রুটে চলে ২টি এই মোট ১১টি রো রো ফেরি চলাচল করে এই রুট দুটিতে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যায়। এ সময় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ফেরির সহকারী ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবির।