ধর্ম ডেস্ক: কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত গ্রন্থ। সৃষ্টির উপর স্রষ্টার মর্যাদা যেমন, পৃথিবীর সব কথা, বক্তব্য ও গ্রন্থের ওপর কোরআনের মর্যাদাও তেমন। আল্লাহ তাআলা কোরআন সম্পর্কে বলেছেন,
اِنَّهٗ لَقُرۡاٰنٌ كَرِیۡمٌ فِیۡ كِتٰبٍ مَّكۡنُوۡنٍ لَّا یَمَسُّهٗۤ اِلَّا الۡمُطَهَّرُوۡنَ تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কোরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, পূত-পবিত্র (ফেরেশতা) ছাড়া (শয়তানেরা) তা স্পর্শ করতে পারে না, তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাজিলকৃত। (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৭-৮০)
তাই মুমিনমাত্রই কোরআনের মহত্ত্ব ও সম্মান অন্তরে থাকা উচিত এবং কোনোভাবে যেন আল্লাহর কালাম কোরআনের অসম্মান না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
কোরআন তিলাওয়াত করতে হয় মনোযোগ দিয়ে আদবের সাথে, কোথাও কোরআন তিলাওয়াত হলে তাও চুপ থেকে আদবের সাথে মনেযোগ দিয়ে শুনতে হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
যখন কোরআত পড়া হয়, তখন চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শোনো, হয়তো তোমাদের দয়া করা হবে। (সুরা আরাফ: ২০৪)
কোরআন তিলাওয়াত শুরু হলে তা যদি মনোযোগ দিয়ে না শোনা হয়, মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোরআনের অসম্মান হয়। আল্লাহর কালামের সাথে বেয়াদবি হয়।
মোবাইলের রিংটোন মোবাইলে কল এলে বোঝার জন্য সেট করা হয়। এটি মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য সেট করা হয় না। বরং কল এসেছে বুঝতে পারলে সাধারণত দ্রুত কলটি রিসিভ করার চেষ্টাই সবার মধ্যে থাকে। তাই রিংটোন হিসেবে কোরআন তিলাওয়াত ব্যবহার করা হলে কোরআনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া মোবাইল নিয়ে অনেকে টয়লেটেও যায়। সেখানে কল এলে অপবিত্র স্থানে আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালামের তিলাওয়াত বেজে উঠতে পারে। এভাবেও কোরআনের অসম্মান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই মোবাইলে রিংটোন হিসেবে কোরআন তিলাওয়াত ব্যবহার করা যাবে না।
অনেকে না জেনে নেক অর্জনের জন্য রিংটোন হিসেবে কোরআন তিলাওয়াত ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কোরআনের অসম্মান হওয়ার কারণে এটা উল্টো গুনাহের কারণ হয়।