রাঙামাটি প্রতিনিধি: কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর চূড়ান্ত বিপদসীমায় পৌঁছেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। জেলায় পানি বন্দি রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। যে কারণে রোববার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে খোলা রয়েছে বাঁধের ১৬টি জলকপাট। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৯২ এমএসএল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে ১ ফুট করে এবং দুপুর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেয়া হয়। এতে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে গিয়ে পড়ছে।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় হ্রদের পানি ছাড়ার পরও পানি বাড়ছে। তাই সকাল থেকে স্পীলওয়ের এর গেইট ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে ১ ফুট করে এবং দুপুরের পর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে। যদি পানি এভাবে বাড়ে তাহলে পানি ছাড়ার পরিমান বাড়ানো হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসনরে তথ্য মতে জানা যায়, জেলার রাঙামাটি সদর, লংগদু, বরকল, নানিয়াচর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা জানান, রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে ১২ মেট্রিক টন এবং উপজেলা সদরে ৬টি ইউনিয়নে ১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলরা বিতরণ শুরু করেছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, পানি বন্দি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে। একই সাথে বাঁধের পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে পানি কমে আসবে।