নোয়াখালি প্রতিনিধি: বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নোয়াখালীর চার উপজেলায় কমেনি দুর্ভোগ। এসব উপজেলায় এখনো কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমর সমান পানি বিরাজ করছে। নিচু এলাকা হওয়ায় এখনো ডুবে আছে বাড়িঘর। এতে দুর্ভোগে অন্তত ১৯ লাখ মানুষ।
এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ৩ মাস ভর্তুকি মূল্যে চাল ও আটা পাবেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। অন্যদিকে পানি কমে আসায় ফেনীতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। তবে পানিবাহিত রোগ বাড়ায় মেডিকেল ক্যাম্পে ভিড় করছেন আক্রান্তরা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর কবে নাগাদ বসবাসের উপযোগী করতে পারবেন তা জানা নেই বানভাসিদের। আবার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির বিপরীতেও আছে দুঃসংবাদ। একদিকে যেমন পানি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে লাশের সারি।
পানি কমায় চাঁদপুরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। তবে ফরিদগঞ্জ ও কচুয়ায় এখনো পানিবন্দি অনেকে। ফসলের জমি ও মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় দুশ্চিন্তার শেষ নেই ক্ষতিগ্রস্তদের।
উল্লেখ্য, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যাকবলিত এলাকায় বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানিয়েছেন খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বন্যায় ১৪ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে দুর্গত এলাকার পৌরসভা/ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
খাদ্যসচিব জানান, এই স্পেশাল ওএমএস ওই এলাকাগুলোর ২৩০টি কেন্দ্রে দেয়া হবে। প্রতি কেন্দ্রে ১ টন চাল ও ১ টন আটা হিসেবে প্রতিদিন ২৩০ টন চাল ও ২৩০ টন আটা বিক্রয় করা হবে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসব্যাপী এ কার্যক্রমে সর্বমোট ১৪ হাজার ৪৯০ টন চাল ও ১৪ হাজার ৪৯০ টন আটা বিক্রয় করা হবে।
তিনি জানান, প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। আর এ কর্মসূচিতে ৩ মাসে ৯০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হবে।