রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর পাংশায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ডুকে শিক্ষকসহ ৩ জনকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-ঝিকরি পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জয় কৃষ্ণপুর ফাজিল মহিলা মাদ্রাসার প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান (৩৬) ও তার পিতা আবুল কাসেম মন্ডল (৬০) এবং চাচা আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। তারা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. লিটন মন্ডল (৩০), মো. হুমাই মন্ডল (৪০), মো. নাদের মন্ডল (৪৫), মো. সবুর মন্ডল (৫০), মো. হেলাল মন্ডল (৪০), মো. মিরাজ মন্ডল (৩০), মো. জুয়েল মন্ডল (২২), মো. রিপন মন্ডল (৪০), মো. লতিফ মন্ডল (৪৫), মো. ওহাব মন্ডল (৬০), আব্দুর রশিদ মন্ডল(৫০), মো. চুন্নু মন্ডল (৪০) ইব্রাহিম মন্ডল (৫০), হান্নান মন্ডল (৫০), ফিরোজ মন্ডলসহ (৪০) আরও ৫ থেকে ৭ জন।
শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে লিটনদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। কয়েক দিন ধরে তারা আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন। গত শনিবার পাংশা মডেল থানা ও পাংশা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে লিখত অভিযোগ করি। আজ সকালে পুলিশ বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পরেই অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। আমাদের সবার হাতে, পিঠে, মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ ছাড়াও আমার মা, চাচিসহ ৪ থেকে ৫ জন মহিলাকে ও মারপিট করেছে। আমরা হসপিটালে আসার পর এখানে এসেও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বাড়ি চলে যেতে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তানসু সোমা (মেডিকেল অফিসার) বলেন, তিনজন শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত নিয়ে হসপিটালে এসেছেন। সবাইকে ভর্তি করা হয়েছে।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ সকালে চর-ঝিকরিতে পুলিশ গিয়েছিল। পরে উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে মারপিঠের ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।