শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে ছাত্রদল নেতা মিথুনকে গ্রেপ্তার করে থানায় প্রবেশের সময় বাধা দেয় তার সমর্থকরা। এ সময় ধস্তাধস্তিতে নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।পরবর্তীতে এ ঘটনায় পুলিশের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ মার্কেট থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বশির ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ হাসান (২১), মোহাম্মদ ইমন (২৫), মাসুম মাহমুদ (৩২), মোহাম্মদ আলামিন (৩০) এবং আকবর আলী।
এ বিষয়ে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন আতিক বলেন, ‘মিথুনকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিতে তার সমর্থকরা চেষ্টা করেছিল, তবে পারেনি। এই ঘটনায় পৃথক একটি মামলা করা হয়েছে।মামলার বাদী নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক।’
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইমন গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নিউ মার্কেট থানায় মামলা করেন সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান।
এই ঘটনায় রিমান্ডে নেওয়া এক আসামি জানান, তাকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা মিথুন।
ইমন গ্রুপের মূল হোতা সানজিদুল হাসান ইমনের ধানমণ্ডি এলাকায় চাঁদা তোলার কাজ করেন মিথুন। সেই মিথুনকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফুট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মিথুনকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি নিউ মার্কেট থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশকালে তার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ সদস্যরা তাদের সরে যেতে বললে তারা উল্টো হামলা করে মিথুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা লাঠি, রড, চাপাতি নিয়ে আক্রমণ করে।এতে নিউ মার্কেট জোনের এসি তারিক লতিফ, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরব আলী, এসআই ফিরোজ আহমেদ, এসআই খন্দকার মেসবাহসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।