দেশের শীর্ষ কোম্পানি ওয়লিটন ও মার্সেলের প্রতারণায় হাজার হাজার ডিলার আজ পথে বসেছে । তাদেরকে নিম্ন মানের ফ্রিজ দিয়ে এ প্রতারণা করা হয় । বিষয়টি নিয়ে ডিলাররা ওয়ালটন কর্তিপক্ষের সাথে আলোচনা করেও কোন সুফল পায়নি । পরে তারা আন্দলনে নেমেছে । গতকাল তারা ওয়ালটনের বিরুদ্বে সভা-সমাবেশ করেছে ।
সেখানে এক ভুক্তভুগীর থেকে জানতে পেরেছি, পণ্যে না কিনে পণ্যের টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের । এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ালটনের প্রতিনিধিরা ডিলারদের কোড ব্যবহার করে তাদের নামে পণ্য বিক্রি করে, ফলে তাদেরকে পণ্য না কিনেও টাকা পরিশোধ করতে হয়।। টাকা দিতে না চাইলে তাদের নিয়ে যাওয়া হতো টর্চার সেলে । আরো জানা যার ভুয়া রিসিট তৈরি করেও তাদের থেকে টাকা আদায় করে ওয়ালটন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ডিলাররা ব্যংক লোল করে তদের টাকা পরিশোধ করে বলে জানিয়েছে অনেক ভুক্তভুগী ।
ব্যাবসা ছেড়ে দিলেন না কেনো এ প্রশ্নে, এক ভক্তভুুগী বলে, তারা নকল রশিদ, অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ, পণ্যের কমিশন, এসব বিষয় এ অভিযোগ তুললে ওায়ালটন কম্পানী তাদেরকে আইনি ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখে ।
ভুক্তভুগী আরো বলে তাকে আয়নাঘর দেখিয়ে আনা হয়েছে।
এক কথায় ডিলারদের জিম্মি করে চালিয়ে গিয়েছে ব্যবসা।
জানা যায় ওয়ালটনে হেড অফিসে রয়েছে টর্চার সেল। কেউ তাদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে নিয়ে যাওয়া হতো সেখানে । নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে আদায় করা হত অর্থ । তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাতে সেখানে থাকত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা । ডিলাররা তাদের জীবন বাচাতে পরিবারের কথা ভেবে বাধ্য হয় অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে ।
ক্ষতিগ্রস্ত ডিলাররা কোম্পানির বিরুদ্ধে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হল: প্রতিশ্রুত কমিশন এবং বকেয়া টাকার পরিশোধ। ডেবিট এডজাস্টমেন্টের নামে বাড়তি টাকা ফেরত। ডিলারদের বাজার দখল বন্ধ এবং তাদের কাছে থেকে নেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত। ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য প্রতিস্থাপন এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের সুযোগ।
ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি ৭ দিনের মধ্যে এসব দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তারা সারা দেশে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। এই কর্মসূচি ইলেকট্রনিক্স বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।