Search
Close this search box.

ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বড় ঋণ

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পাওয়া গেছে সহায়তার আশ্বাস।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বাড়ানোর কাজে এই ঋণের অর্থ ব্যয় হবে। এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য বলছে: সংস্কারের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হলেও বর্তমানে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে এডিবি থেকে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক এবং এডিবি থেকে পাওয়া ঋণের সুদের হার হতে পারে ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ। এর মধ্যে এডিবি’র দেয়া অর্থ তিনভাগে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম বছর ৫০ কোটি, দ্বিতীয় বছর ৫০ কোটি ও তৃতীয় বছর ৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আইএমএফ থেকে রকারিগরি সহজায়তাও পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এসব ঋণ দিয়ে ঠিক কী করা হবে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংক গুলোকে এ অর্থ থেকে পুনঃমূলধন দেওয়া হবে কিনা সে আলোচনাও আছে ব্যাংক পাড়ায়।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে গভার্নরের দায়িত্ব নেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের কাজ হাত দেন। সম্প্রতি তিনি ১০ ব্যাংকে ‘দুর্বল ব্যাংক’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করা হয়েছে। তারল্য সঙ্কটে এসব ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম এরমধ্যে বন্ধের পথে।

এসকল সমস্যা থেকে উত্তরণে এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কারে তিনটি টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

শেষ জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং সেক্টরে মোট ঋণ খেলাপির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। যা ব্যাংকগুলো মোট বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সামনে  এ খেলাপির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। অনেক ঋণ অপ্রদর্শিত রয়েছে। তাতে করে দেশের ব্যাংক গুলোর দেওয়া ঋণের ২৮ শতাংশই খেলাপির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ