স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চামড়া খাতের রফতানিতে উল্লেখযোগ্য সুযোগ রয়েছে।
রবিবার (০৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চামড়া খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রফতানি এবং দেশের অভ্যন্তরেও। গার্মেন্টস খাতে আমদানি নির্ভর হলেও চামড়া দেশের নিজস্ব পণ্য, যা পশু পালনের সাথে জড়িত।
তিনি উল্লেখ করেন, রফতানি বহুমুখীকরণের প্রক্রিয়ায় চামড়া খাত একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে নানা সম্ভাবনা ও সমস্যা রয়েছে। আমরা ট্যানারি স্থানান্তর, পরিবেশগত দিক, অর্থায়ন এবং চামড়ার সার্টিফিকেশন নিয়ে আলোচনা করেছি।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, চামড়া শিল্পকে রফতানির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এই খাতের কাঁচামাল দেশীয়, যা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সঙ্গে জড়িত। এই খাতকে সহায়তা করলে অন্য খাতগুলোও উন্নতি করবে।
এ সময় লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, শত ভাগ রফতানিমুখি খাত হওয়া সত্ত্বেও সাভারে সিইটিপির কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। যার ফলে ৭০-৮০ শতাংশ কম দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সিইটিপি ঠিক হলে চামড়ার দাম ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে আসবে।