তিতুমীর কলেজ

শিক্ষার্থীদের অবরোধে ‘অচল’ ঢাকা, ভোগান্তিতে নগরবাসী

 “রাজধানীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ”

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বেড়িবাঁধ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে রাজধানীর গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর হয়ে ধানমন্ডি সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর নতুন বাজারে বেসরকারি ইউআইইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শনিরআখড়ার কাজলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, বন্ধ হয়ে যায় সব প্রকার যান চলাচল।বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে প্রাইম-এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে এই আন্দোলন করছে। এতে বনানী এলাকায় সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন।
দুপুর ১২টার পর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীরা অবরোধ শুরু করেন। এতে করে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর রামপুরায় হাতিরঝিলের মুখে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় কয়েকশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে এতে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।বেলা ১২টার পর রাজধানীর মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটি ও বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। এতে মিরপুর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।পূর্বঘোষণা অনুযায়ী- মহাখালীতে রেলপথ, মহাসড়ক ও গুলশান-১ এর গোলচত্বর অবরোধ করার কথা ছিল। তবে ইজতেমা থেকে ফেরা মুসল্লিদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে তারা রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শিথিল করেছে।

শিক্ষার্থীদের অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এ সময় অনেক যাত্রী ও চালক শিক্ষার্থীদের একপাশের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাতে সায় দেননি শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডায় দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ইজতেমার মুসল্লিদের কথা বিবেচনা করে দুপুর পর্যন্ত তারা কর্মসূচি শিথিল রেখেছিলেন। দুপুরের পর থেকে অবরোধ কঠোর করার ঘোষণা রয়েছে তাদের। দ্রুত দাবি মেনে না নিলে ঢাকা উত্তর সিটি অচল করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাতে যোগ দেন আরও দুজন। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ওইদিন দুপুরে গুলশান-মহাখালী সড়কের দুই পাশেই বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।৩০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষার্থীরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার পর থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গুলশান-১ চত্বরে অবস্থান নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছেন।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনশন, বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচিতে ক্রমেই জনদুর্ভোগ বাড়ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ