স্টাফ রিপোর্টার \ ঢাকা জেলার ধামরাই এলাকার আমিনুর হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী দুইজনকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শিপলু (২০), রাসেল (১৬)। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুড়ি ও চাপাতি উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামী শিপলুর বাবা মারা যাওয়ার পর অনুমতি ছাড়াই তার মা ভিকটিম আমিনুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। শিবলু তা মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে তা মেনে নিতে থাকে। কিন্তু আমিনুর মাদকসেবী হওয়ায় শিবলুর সাথে তাদের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
ডিআইজি জানান, পারবারিক তর্কবিতর্কের বিভিন্ন সময়ে আসামী শিপলু ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যেতো। পরবর্তীতে গত ১৬ আগস্ট ভিকটিম বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায়, ভিকটিম আমিনুর তার স্ত্রী শিল্পী বেগম সাভার থেকে ডেকে ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়। এরপর আমিরুল কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে একটি ভ্যানে উঠে রওনা হয়, কিন্তু পথিমধ্যে আসামী শিপলু, তার আপন ভাইদ্বয় এবং অন্য গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেলের সহযোগীতায় পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আমিনুর’ কে ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে ঢাকা জেলার ধামরাই থানার নান্নার উপজেলার কান্দাকাউলি এলাকার পশ্চিম পাশের ধানক্ষেতে একটি রক্তাক্ত কাটা জখমসহ অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবরে দেয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মাধ্যমে স্থানীয় থানার পুলিশ ।
সুরতহাল রির্পোটে বলা হয়, নিহতের ডান পায়ের নিচে মাংস নেই এবং হাড় বেড়িয়ে গেছে।
পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাৎক্ষনিকভাবে লাশটির বিস্তারিত পরিচয় না পাওয়া গেলেও এলাকাবাসী ও স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তার পরিচয় মিলে। পরবর্তীতে ভিকটিম আমিনুর ইসলাম এর মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ধামরাই থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।