স্টাফ রিপোর্টার \ অভিযোগ রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঘুসের বিনিময়ে রোগীদের বিভিন্ন সেবা দ্রুত পাইয়ে দেওয়ার। আর এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত খোদ হাসপাতালের অনেক কর্মচারী। তাদের সঙ্গে আবার সম্পর্ক রয়েছে দালালদের।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। ছদ্মবেশে দুদক কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। তবে দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী ও দালালরা।
রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রনজিৎ কুমার কর্মকার ও মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
দুদক সূত্র জানায়, দ্রুত কাজ করে দেওয়ার নাম করে বহির্বিভাগে আসা রোগীদের কাছ থেকে ঘুস নেন ঢাকা মেডিকেলের কর্মচারী আলী ও রাজিবসহ আরও অনেকে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে অভিযান চালায় দুদক। এর সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ঢামেক পরিচালক ও উপ-পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
তবে ঢাকা মেডিকেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানায়, আলী নামের ওই ব্যক্তি ঢামেকের কেউ নন। তবে আলী নামের এক দালাল বহির্বিভাগে এরকম অবৈধ কাজ করেন বলে জানা যায়। যদিও অভিযানকালে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগে উল্লেখিত অপর ব্যক্তি রাজিবকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঢামেক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে দুদক টিম।