স্টাফ রিপোর্টার- একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
জানা যায়, বাসা ভাড়ার কথা বলে লুট করতে এসে ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদকে হত্যা করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে এটিইউর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি পুলিশ সুপার (ইন্টিলিজেন্স) এম এম হাসানুল জাহিদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পালাতক আসামি রাজু মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজু দীর্ঘ নয় বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ করতেন না।
এটিইউর এই কর্মকর্তা বলেন, ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে রাজুসহ বেশ কয়েকজন টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের জন্য প্রবেশ করে। এ সময় আফতাব আহমেদ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রাপুরা থানায় মামলা হয়।
২০১৩ সালে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারের এক বছরের মাথায় রাজু মুন্সিসহ দুইজন জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন চলে যায়। ২০১৭ সালে গ্রেফতারকৃত রাজুসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরার নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক আফতাব আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন, বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপরজন সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
