Search
Close this search box.

চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশকে আরও সক্রিয় থাকতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে দায়ের হওয়া মামলা কঠোরভাবে মনিটরিং, নিয়মিত তথ্য সদর দপ্তরে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ডাকাতি, চুরির ঘটনায় ভোর থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত প্রতিটি বিভাগের মোবাইল পার্টিকে সক্রিয় রাখা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মনিটরিং করা এবং দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে সদাচরণে কঠোর নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

ডিএমপি সদর দপ্তরে ফেব্রুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসময় তিনি যে কোনো ঘটনায় দায়িত্ব পালনকালে সহনশীলতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশনা দেন। কোন কর্মকর্তা কিংবা পুলিশ সদস্য যদি অতি উৎসাহী হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন বা মারধর করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও দেন কমিশনার।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। এর কোনো কোনো ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, নাশকতামূলক কিছু ঘটছে কিনা। সেজন্য প্রতিটি ক্রাইম ডিভিশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিট পুলিশিং কর্মকাণ্ড বাড়াতে। বিশেষ করে পুরান ঢাকা এলাকায় যেন বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজউক, সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক গৃহীত নিয়ম মেনে পরিচালনা করা হয় সেজন্য পুলিশকে উঠান বৈঠক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার নির্দেশনা দেন কমিশনার।

ঢাকা শহরে চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। এ বিষয়ে  ডিএমপির একাধিক বিভাগের  উপ-পুলিশ কমিশনাররা জানিয়েছেন, চুরি ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। ইতোমধ্যে এই চুরি-ডাকাতি মামলা মনিটরিং করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স, থানায় নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হোন সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। রমজানে গ্যাস সিলিন্ডার, কড়াই রাস্তায় রেখে অনেকেই ব্যবসা করেন। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলো যেন না হয় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

ভোর বেলা ছিনতাই, চুরি ডাকাতির ঘটনা ঠেকাতে মোবাইল পার্টিগুলো অ্যালার্ট থাকা, বাসে হালুয়া পার্টির বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া, বিশেষ করে রমজানে রোজাদারদের খোরমা খেজুর শরবত খাওয়ানোর নামে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতারোধে গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ