স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে সিগারেট অথবা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। এই শপিং কমপ্লেক্সের আদর্শ মার্কেট এবং মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার মাঝামাঝি কোনো জায়গা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা তাদের। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার কোনো আলামত পায়নি কমিটি।
আগুন লাগার সময় মার্কেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আট প্রহরী, একজন ইলেকট্রিশিয়ান, কর্মরত ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী নেতাসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে কমিটি।
কমিটির প্রধান ডিএসসিসি জোন-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা নাজনীন বলেন, সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। গত ৪ এপ্রিল ভয়াবহ ওই বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সে আগুনে প্রায় ৩ হাজার দোকান ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক নেতাদের দাবি। আগুনের ঘটনা তদন্তে ডিএসসিসি ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির একাধিক সদস্য জানান, মহানগর মার্কেট সংলগ্ন আদর্শ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় প্রথম আগুন লাগে। কারখানার কাছাকাছি কোনো বিদ্যুৎ বিতরণ বাক্স ছিল না বলে জানান তারা। আগুন লাগার সময় কয়েকটি স্থান ছাড়া পুরো মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল উল্লেখ করে কমিটির সদস্যরা আরও জানান, রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ২ মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।
নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তদন্তকারীরা জানান, সে সময় শুধু প্রহরীদের থাকার জায়গা, মসজিদ ও কমপ্লেক্সের অফিসে বিদ্যুৎ ছিল। এ ছাড়া ওয়াই-ফাই রাউটার চালু ছিল।
তদন্তকারীরা জানান, আদর্শ মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার কক্ষ ছিল। কক্ষের নিচে ছিল এমব্রয়ডারি কারখানা ও একটি গুদাম। সেহরির সময় তৃতীয় তলা থেকে সিগারেটের বাট দ্বিতীয় তলায় পড়তে পারে এবং এতে এমব্রয়ডারি কারখানা বা গুদামে আগুন লাগতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
এ ছাড়া, নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার স্থানে জ্বলন্ত মশার কয়েল থেকেও আগুন লাগতে পারে।
কমিটির প্রধান ডিএসসিসি জোন-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা নাজনীন বলেন, আমরা প্রায় সব কাজ শেষ করেছি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এখনো পাইনি। আগুন লাগার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আমাদের পর্যবেক্ষণ জানাব।
ডিএসসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটিতে কোনো ফায়ার এক্সপার্ট নেই। কমিটিকে আগুনের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে