Search
Close this search box.

সায়েন্স ল্যাবে বাসে আগুন! পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়।

জানা গে‌ছে, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পদযাত্রাটি সীমান্ত স্কয়ারের সামনে থেকে সিটি কলেজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিএনপির নেতাকর্মী‌রা সায়েন্সল্যাব মোড়ে দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় তারা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

পুলিশ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসালম রবিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

এদিকে বিএনপির পদযাত্রা শেষে কিছু নেতাকর্মী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা চালানোর কারণে পুলিশ অ্যাকশনে যায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেন। এসময় সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাসে ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকালে ডিসি রমনা বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা শান্তিপূর্ণ হলেও শেষ পর্যায়ে এসে পেছনে থাকা নেতা-কর্মীরা দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, বিকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল থেকে শুরু হয়ে পথযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবে তারা শুরু করেছিল। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিলেন পদযাত্রায়। সামনের সারিতে যে সকল নেতা-কর্মীরা ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এ পর্যন্ত (সায়েন্স ল্যাব) এসে তাদের যা করার কথা ছিল তাই করেছেন। সব সিনিয়র লিডাররা চলে যায়।

তিনি বলেন, তবে পদযাত্রা শেষের সরি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট পাটকেল মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে তারা বিআরটিসি একটি বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাসের গ্লাস ভেঙেছে। এই সংঘর্ষ আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না করলেও পারতো। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

পুলিশ কত রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়েছে জানতে চাইলে রমনার ডিসি বলেন, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এই ধরনের পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আমাদের সিআরপিসি নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি। যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি তারা কম করতে পারে।

এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি এ কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ