এম রাশেদুল ইসলাম
‘সর্বোচ্চ প্রয়াসে হোক প্রতিটি কাজ।’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘নবীনবরণ ও ওরিয়েন্টেশন’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ বর্ষে পদার্পন ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্লে থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২টি সেশনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন বছরের শিক্ষা কার্যক্রমের শুভ সূচনা হয়।
পৌষের সকালের কুয়াশার কুহেলিকা ভেদ করে নবীন শিক্ষার্থীরা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে স্কুলে উপস্থিত হন। প্রতিটি শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষকগণ স্ব – স্ব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা আয়োজনে মেতে ওঠেন। পারস্পরিক পরিচিতি, ছড়া, রাইমস, কবিতা আবৃত্তি, নাচ-গান করা, কার্টুন দেখা ও নবীন সাজে সজ্জিত হয়ে শ্রেণিকক্ষসহ পুরো স্কুলকে মুখরিত করে তোলেন।
শ্রেণি শিক্ষকদের আয়োজিত পর্ব শেষে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে মনমুগ্ধকর এসেম্বলির মাধ্যমে নবীনবরণ প্রোগ্রামের ২য় পর্বের আনুষ্ঠানিকতার সূত্রপাত হয়। এরপর এক এক করে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নবীনদের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানানোর পর প্রধান অতিথি প্রিন্সিপাল এম রাশেদুল ইসলাম তার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বছরের শুরু থেকে রুটিন করে পরিকল্পিতভাবে পড়াশুনা করতে হবে। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে তা বাস্তবায়নে প্রত্যয়ী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি ভালো মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। নৈতিক ও মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে চরিত্র গঠনের মাধ্যমে দেশ জাতি ও সমগ্র মানব জাতির জন্য কাজ করতে হবে।
ঢাকা ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। স্কুলকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রিন্সিপালের বক্তব্য শেষে সকল নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার ও আপ্যায়ন দেয়া হয়। ফটোসেশনের মাধ্যমে নবীনবরণ প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। সকলের সুন্দর ও আনন্দময় জীবন কামনা করেন ও ধন্যবাদ – কৃতজ্ঞতা জানান প্রিন্সিপাল এম রাশেদুল ইসলাম।