দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ‘আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস’ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেসকো) নির্ধারিত এ বছর সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সামজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’। যা সময়ের গুরুত্ব বিবেচনায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৭৩ ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁয়ে। ওইদিন ঠাকুরগাঁওয়ের কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
এদিকে, সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
সাক্ষরতা দিবসের কর্মসূচি
দিবসটি উপলক্ষে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত টকশো ও প্রতিবেদন প্রকাশ। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (বিএনএফই) প্রধান কার্যালয়ে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।