টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। বাদী লায়লা আক্তার ফারহাদ ২০২৩ সালের ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামুন তাকে জানায়, ঢাকায় থাকার জন্য তার নিজস্ব কোনো বাসা নেই। ফলে লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে নিয়ে লায়লার বাসায় ওঠেন এবং সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন। এ সময় মামুন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরবর্তী সময়ে লায়লা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তা এড়িয়ে যান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ মামুন তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন মামুন আদালতে উপস্থিত হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে, বাদী পক্ষ জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন, যেখানে মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মামুন একজন পরিচিত টিকটকার এবং লায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুপরিচিত। তাদের পরিচয়ের সূত্র ধরে একপর্যায়ে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
মামুন লায়লার বাসায় বসবাস করার সময় তার নানা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন। পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লায়লার সম্মতি ছাড়া একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। মামলা দায়েরের পর গত বছরের ১০ জুন কুমিল্লা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, ১ জুলাই তিনি জামিনে মুক্ত হন।