লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা অনেকেই বাচ্চাকে শান্ত রাখার জন্য তার হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব তুলে দেই। গান, কার্টুন বা মজার ভিডিও চালিয়ে দিয়ে তাকে শান্ত রাখা হয়। আবার স্কুল, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাসের কারণে বাধ্য হয়ে শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেই। দিনের বেশিরভাগ সময় শিশুদের হাতে স্মার্টফোন থাকায় তা আসক্তিতে রূপ নিয়েছে। যে কারণে শিশুদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নানাবিধ বিরূপ মনোভাব।
তবে সম্প্রতি দেশে কোটা আন্দোলন চলাকালীন হঠাৎ ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে যেসব মা-বাবা সন্তানকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো বা অবসর কাটাতে গ্যাজেট ও ইন্টারনেটকেই একমাত্র উপায় মনে করতেন, তারা এখন এর বিকল্প খুঁজছেন।
এক্ষেত্রে শিশুবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুর গ্যাজেট বা ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি কমাতে বর্তমান সময়টা কার্যকরী। ইন্টারনেট বন্ধের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে স্বাভাবিক বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত করতে পারেন।
অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় সব বাড়িতেই শিশুরা বুঁদ ডিজিটাল পর্দায়। এর বিকিরণ থেকে চোখের নানা রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। আবার একটু বড় হলে এদের বেশিরভাগই মানুষের সঙ্গে মিশতে চাইবে না। তখন বাইরে খেলাধুলার পরিবর্তে ঘরে বসে ভিডিও গেম খেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।