আন্তর্জাতিক ডেস্ক – শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালস বিয়োলিয়াৎস্কি। এ ছাড়া যৌথভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার দুটি মানবাধিকার সংগঠনও এই পুরস্কার পেয়েছে। সংগঠন দুটি হলো, মেমোরিয়াল ও সেন্ট্রল ফর সিভিল লিবার্টিস।
শুক্রবার বিকেলে নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। এক টুইটে নোবেল কমিটি বলেছে, ‘শান্তিতে নোবেল বিজয়ীরা নিজে দেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা অনেক বছর ধরে সমালোচনার অধিকার ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কাজ করেছে। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও শান্তির এই নোবেলবিজয়ীরা প্রশংসিত।’
বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এবার ফরাসি লেখক অ্যানি আর্নাক্স ‘সাহসী ও তীক্ষ্ণ লিখনী শক্তির কারণে’ ২০২২ সালের এই সম্মানে ভূষিতে হন।
এর আগের দিন বুধবার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যারোলিন আর. বার্তোজি, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মর্টেন মেলডাল এবং মার্কিন গবেষক কে. ব্যারি শার্পলেস রসায়নে নোবেল জয় করেন। এই তিনজনের মধ্যে কে. ব্যারি শার্পলেস ২০০১ সালেও রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন। ক্লিক কেমিস্ট্রি এবং বায়োর্থোগোনাল কেমিস্ট্রির উন্নয়নের গবেষণায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এদিন নোবেল কমিটি জানায়, ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ ২০২২ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যালেইন অ্যাসপেক্ট, মার্কিন বিজ্ঞানী জন এফ ক্লসার ও অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঞ্জারকে।
গত সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে সুইডিশ জিনবিজ্ঞানী সোয়ান্তে প্যাবোকে ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার কার্যক্রম। বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানব বিবর্তনবিষয়ক গবেষণার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে প্যাবোকে।