আন্তর্জাতিক ডেস্ক – গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে মারা যান সাবেক ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এরপর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয় তাকে। আর এই শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানেই দেশটি খরচ করেছে ১৬২ মিলিয়ন পাউন্ড। যা বাংলাদেশি অর্থে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি। যার পুরোটাই গেছে সাধারণ মানুষের দেওয়া কর থেকে। রানির অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে কত খরচ হয়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার।
রানি এলিজাবেথ ৮ সেপ্টেম্বর মারা গেলেও তাকে শেষ বিদায় জানানো হয় ১৯ সেপ্টেম্বর। এদিন বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র প্রধানসহ কয়েকশ বিদেশি অতিথি যুক্তরাজ্যে আসেন।
রানির কফিনটি রাখা হয়েছিল লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে। ওই সময় তার কফিনটি এক নজর দেখতে হাজার হাজার মানুষ লাইন ধরেন। এ বিষয়টি নিরবিচ্ছিন্নভাবে করতে নিরাপত্তার পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়।
রানির অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার খরচের ব্যাপারে সংসদের কাছে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী জন গ্লেন। তিনি জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৬৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড। এরমধ্যে শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করেছে ৭৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড।
সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়া বিভাগ খরচ করেছে ৫৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ড। অপরদিকে স্কটল্যান্ডের সরকার ১৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিল করেছে।
এদিকে রানির মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন তার বড় ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস। এই মাসের প্রথম সপ্তাহে তার রাজ্যাভিষেক হয়। এই অভিষেক অনুষ্ঠানেও বিপুল অর্থ খরচ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রানির অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে এতে।
দেশজুড়ে মূল্যস্ফীতির কারণে যখন সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন, তখন রাজকীয় অনুষ্ঠানে এত অর্থ খরচ করা নিয়ে অনেকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কয়েকদিন আগে একটি খবর বের হয় রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র নিরাপত্তার পেছনেই খরচ করা হয়েছে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড। যদিও এ খবরকে উড়িয়ে দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। সূত্র: এএফপি