গাজায় একটি হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের খেলা শুরু হয়েছে। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দায়ী বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর। তার কাছে এর প্রমাণও রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন দাবি করেছেন, ইসলামিক জিহাদ এই হামলা চালিয়েছে।
ওই হামলার খবরে শিউরে ওঠে বিশ্ববাসী। তবে হামলার পর পরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইসলামিক জিহাদ এই হামলা চালিয়েছে। এখন হামাস নিজেদের ‘ভুক্তভোগী’ হিসেবেও উপস্থাপন করতে চাইছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু ফিলিস্তিনি দূত মনসুর বলেন, ওই হাসপাতালে হামাসের উপস্থিতি আছে, এমন ধারণা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু একজন মিথ্যাবাদী। তার ডিজিটাল মুখপাত্র হামলার পর এক টুইট করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতালের আশপাশে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে, এমন ধারণা থেকেই ইসরায়েল এই হামলা চালায়। পরে অবশ্য সেই টুইট ডিলিট করে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে সেই টুইটের কপি আছে। এখন তারা গল্প বদলে ফিলিস্তিনিদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলন লেখেন, গাজার হাসপাতালে ইসলামিক জিহাদের রকেট আঘাত হেনেছে। ৩০টি ইহুদি কমিউনিটিতে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ৪০০-র বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা, দুই শতাধিক মানুষকে অপহরণ এবং ৭ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ার পরও ফিলিস্তিনিরা ভুক্তভোগী সাজার যে নাটক করছে তা চমকপ্রদ। বিশ্বে কেউ কেউ হামাসের এই মিথ্যাকে মেনে নেওয়ার ‘আগ্রহ’ দেখিয়েছে যা হতাশাজনক কিন্তু অবাক করা নয়।
প্রসঙ্গত, গাজায় মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স প্রধান আল জাজিরা টেলিভিশনকে জানিয়েছে, আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে বিস্ফোরণে ৩০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।