গুয়েতেমালায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনে বাধা দেওয়ায় ১০০ সংসদ সদস্য ও প্রায় ৩০০ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিবৃতিতে বলেছেন, যারা গুয়েতেমালায় গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষা এবং জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র গুয়েতেমালার গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করে এমন ব্যক্তির ওপর এই ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। গুয়েতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বেরনারডো আরেভালো শুক্রবার তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরদের আনা আইনি পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করার পর যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যবস্থা নিল। বেরনারডো আরেভালোর নির্বাচনে বিজয় বাতিল চেয়ে ওই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রসিকিউটররা। তাদের এই পদক্ষেপকে ন্যায়ভ্রষ্ট ও ‘অভ্যুত্থান চেষ্টা’ আখ্যায়িত করেন বেরনারডো আরেভালো।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য গুয়েতেমালার পাবলিক মিনিস্ট্রির বিভিন্ন পদক্ষেপেরও কঠোর সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন। অন্যান্য দেশে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর যে ভূমিকা পালন করে সেই কাজ গুয়েতেমালায় করে থাকে ‘পাবলিক মিনিস্ট্রি’। তাদের পক্ষ থেকে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাতিল ছাড়াও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারী ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে বেরনারডো আরেভালোর একটি বিষয়ে দায়মুক্তি প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেছে পাবলিক মিনিস্ট্রি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা আরেভালো গত জুনে অনুষ্ঠিত গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেন। এর মধ্য দিয়ে আগস্টের দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হন তিনি। তার মধ্য বামপন্থী দল সিড মুভমেন্ট পার্টির বিরুদ্ধে কয়েক দফা তদন্ত করে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। বেশ কয়েক বছর আগে দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এসব তদন্ত হয়।
আগস্টে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা ভোটে গুয়েতেমালার সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে জয় পান আরেভালো। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে আসছে।