ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে এই আদেশ দেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালত। খবর- আল জাজিরার।
গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আমলে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধসহ নয়টি ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করে ফিলিস্তিনের সমর্থক দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান স্থগিত করা, আরও মানবিক ত্রাণ সহায়তার অনুমোদন এবং সম্ভাব্য লঙ্ঘনের বিষয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার এর অন্যতম।
যদিও তা বাতিলের আবেদন করে ইসরায়েল। তবে সেই আবেদন নাকচ করে অভিযোগ আমলে নেয় আইসিজে।
এ সময় আদালতের প্রধান বিচারক বলেন, জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী, যে কোনো রাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আইসিজেতে আসতে পারে। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে এ আদালতে মামলা করার আইনি এখতিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছে।
আইসিজের যে ১৭ জন বিচারকের প্যানেল রায় দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন স্থায়ী বিচারক। এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েলের একজন করে বিচারক রয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে এ মামলা দায়েরের পর হেগের এই আদালত দুই দেশেরই বক্তব্য শুনেছে, যেখানে ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে ঢুকে হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং অন্তত ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ২৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে কয়েক হাজার।