ক্ষমতা দখলের চার বছর পূর্তির প্রাক্কালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে জান্তা সরকার জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা করলেও দেশজুড়ে সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অনেকেই নির্বাচন আয়োজনের বিরোধিতা করছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষই নিজেদের আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।শুক্রবার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর অনুমোদন দেয়।সামরিক জান্তার তথ্য দপ্তর জানিয়েছে, ২০০৮ সালে প্রণীত সংবিধানের ৪২৫ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুসারে, জরুরি অবস্থা বহাল থাকা অবস্থায় কোনো জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।
এর আগে জান্তা সরকার ২০২৫ সালে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন সিদ্ধান্তের ফলে সেই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং বলেন, “নির্বাচনের আগে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।” জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে বছরের দ্বিতীয়ার্ধের আগে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।তবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ভোটগ্রহণের জন্য বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। তবে সামরিক বাহিনী ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে এবং সুচিকে গৃহবন্দি করে। এরপর থেকেই দেশটি রাজনৈতিক সংকট ও সহিংসতার মধ্যে রয়েছে।
নতুন করে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক শাসনে ফেরার প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হলো, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।