স্টাফ রিপোর্টার- উৎপাদন খাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি যেমন বাড়াতে হবে তেমনি গুরুত্ব দিতে হবে দক্ষ মানবসম্পদে। এ খাতের সক্ষমতা অর্জনে ডিজিটাইলাইজেশন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কোনো বিকল্প নেই।
চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন সেক্টরের উদ্যোক্তারা উল্লেখিত মত ব্যক্ত করেন। ২০ সেক্টরের ৩৫ উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই বৈঠক হয়। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র উদ্যোগে হয় এই বৈঠক।
চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন কলকাতাস্থ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ও প্রাইজ ওয়াটার কুপারসের (পিডব্লিউসি) এডভাইজরি লিড অর্ণব বসু, সিনিয়র পার্টনার মামুন রশিদ। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা যেমন বাড়াতে হবে তেমনি গুরুত্ব দিতে হবে দক্ষ মানবসম্পদে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নতির সঙ্গে খরচ কমানোর জন্য অভ্যন্তরীণ কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে হবে।
বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি অর্ণব বসু বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সাপ্লাইচেইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যাদের সাপ্লাইচেইনে নিজেদের সক্ষমতা রয়েছে তারা উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব এখন উৎপাদনে রোবটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যা উৎপাদন বাড়াচ্ছে কয়েকগুণ।
চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়ীদের সব সমস্যা সমাধান, ব্যবসায়িক গ্রুপের ট্রান্সফরমিংসহ অন্যান্য সমস্যা নিয়েও ভবিষ্যতে কাজ করবে।
গোলটেবিল আলোচনায় চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিএসআরএম গ্রুপের হেড অব করপোরেট মনির হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ ইফতেখার, সিনজেন গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা আবু হোসেন, ও সাজ্জাদ এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।