স্টাফ রিপোর্টার- নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মেজর জিয়া ক্ষমতাগ্রহণের পর শেখ হাসিনা যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারেন, সেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যতই বাধা হুমকি আসুক, আমি দেশে যাবই। তিনি বিশ্বাস করতেন দেশ এবং দেশের নদীগুলো আমাদের মা। সেই নদীর নিরাপত্তায় আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) প্রেস ক্লাবে নৌ নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে নোঙ্গর ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘নদী আমাদের মা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু নদীপথের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সাড়ে তিন বছরে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। অথচ ২০০৭ সাল অব্ধি কিন্তু ড্রেজারের সংখ্যা বাড়েনি। নদী নিয়ে আর কেউ ভাবেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তার ইশতেহারে উল্লেখ করেছেন, ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিগরি নকশায় কিছু দুর্বলতা ছিল। এ জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে নকশা আনা হয়েছে। আমাদের একটি মাত্র লাইটহাউজ ছিল, এখন তিন থেকে চারটি লাইটহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক জাহাজের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, নৌ দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো- ফিটনেস। কোনো নৌযান তৈরি করার আগে নৌ অধিদপ্তর কর্তৃক সে নৌযানের ডিজাইন অ্যাপ্রুভ করাতে হয়। এরপর তা পানিতে ভাসানোর আগে উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মালিক এবং চালকরা যদি এসব যথাযথভাবে পালন করেন, তাহলে নৌ দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।
এছাড়া অনেক নৌযান তাদের ইঞ্জিন পরিবর্তন করে, তা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। ইঞ্জিন পরিবর্তন রোধে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। ইতোমধ্যে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করা হয়েছে। আবহাওয়া নৌ দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ হলেও বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষে তা কমে গেছে।
নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অন্যতম সহায়ক হিসেবে রয়েছে ক্রুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। যেকোনো বিপদ মোকাবেলায় তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কাজ করবে।
নোঙ্গর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও নদী গবেষক তোফায়েল আহমেদ, বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস ও মেরিন হাউজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল আলম।