Search
Close this search box.

সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ – পুলিশের তিন মামলায় গয়েশ্বরসহ আসামি ৫০০

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিউমার্কেট ও ধানমণ্ডি থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা এসব মামলায় পাঁচ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গণি সাবু জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারশ’ থেকে পাঁচশ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী বলেন, দুই মামলাতেই ৫২ জনের নাম রয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭ জনকে।

জানা গে‌ছে, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পদযাত্রাটি সীমান্ত স্কয়ারের সামনে থেকে সিটি কলেজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিএনপির নেতাকর্মী‌রা সায়েন্সল্যাব মোড়ে দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় তারা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এদিকে বিএনপির পদযাত্রা শেষে কিছু নেতাকর্মী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা চালানোর কারণে পুলিশ অ্যাকশনে যায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেন। এসময় সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাসে ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

ডিসি রমনা বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা শান্তিপূর্ণ হলেও শেষ পর্যায়ে এসে পেছনে থাকা নেতা-কর্মীরা দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলা করে।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, বিকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল থেকে শুরু হয়ে পথযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবে তারা শুরু করেছিল। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিলেন পদযাত্রায়। সামনের সারিতে যে সকল নেতা-কর্মীরা ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এ পর্যন্ত (সায়েন্স ল্যাব) এসে তাদের যা করার কথা ছিল তাই করেছেন। সব সিনিয়র লিডাররা চলে যায়।

তিনি বলেন, তবে পদযাত্রা শেষের সরি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট পাটকেল মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে তারা বিআরটিসি একটি বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাসের গ্লাস ভেঙেছে। এই সংঘর্ষ আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না করলেও পারতো। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

পুলিশ কত রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়েছে জানতে চাইলে রমনার ডিসি বলেন, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এই ধরনের পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আমাদের সিআরপিসি নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি। যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি তারা কম করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ