Search
Close this search box.

বাজেট বাস্তবায়নের কঠিন দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে

পথে প্রান্তরে ডেস্ক: আওয়ামী সরকারের বাজেট  বাস্তবায়নের কঠিন দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে।
প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট পাস হওয়ার পর মাত্র একমাসের ব্যবধানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। সংসদে পাস হওয়ার পর চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয় নতুন বাজেট। অর্থনীতিতে যখন সীমাহীন সংকট, তখন সরকার পতনের ফলে এখন বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর।

গত দেড় দশক ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ আটকে আছে জিডিপির সাড়ে ২৩ শতাংশে। অন্যদিকে গড় মূল্যস্ফীতি উঠে গেছে পৌনে ১২-তে। রাজস্ব আদায়ের গতি কিংবা রিজার্ভ, রপ্তানি, রেমিট্যান্সেও নেই তেমন সুখবর। এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন- দেশের এই অচলাবস্থা কীভাবে ভাঙবে নতুন নেতৃত্ব।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে প্রয়োজন দুই থেকে তিন বছরের একটি অন্তর্র্বতীকালীন পরিকল্পনা।
বাজেটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এডিপি বাস্তবায়ন। এই অর্থবছরের জন্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে ১ হাজার ৩২৬টি প্রকল্প। যার মধ্যে অনুমোদনহীন ৯২৪টি প্রকল্প রয়েছে। নতুন উপদেষ্টার আভাস অনুযায়ী, এই তালিকা নতুন করে মূল্যায়নের পর দীর্ঘদিন ধরে যেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ রয়েছে সেসব থেকে বাদ দেয়া হবে অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনাধীন সব প্রকল্প।
অন্যদিকে, বড় প্রকল্পের পেছনেও অযথা অর্থ ব্যয় করবে না সরকার। সবমিলিয়ে নতুন বাজেটে ঋণ গ্রহণ ও রাজস্ব আদায় নিয়েও নতুন কৌশলে এগোনোর পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের।

এদিকে বাজেট সংশোধন হবে, তবে কালো টাকা আর তৈরি করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
গত ২৫ আগস্ট রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে নীতি সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে মনিটারি পলিসি কমিটির ৫ম সভায় নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত আগামী (আজ) মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।

জানা গেছে, নীতি সুদহার বা রেপো রেট দশমিক ৫০ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করবে, তার সুদহার বাড়বে। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহের পথে হাঁটছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদহার ১০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ বেসিস পয়েন্ট করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ