নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর চৌরাস্তায় অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ’ এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্মৃতিস্তম্ভটির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, বোয়ালমারীর জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা স্মৃতিস্তম্ভে ভাঙচুর চালান। ভাঙচুরের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চত্বরে অবস্থিত বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা আর ভাঙচুর করতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন স্মৃতিস্তম্ভটির একাংশ ভাঙচুর করেছিলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ভাইদের রক্তের দাগ এ মাটিতে এখনো শুকায়নি। অথচ পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনা ভারতের মাটিতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেখানে বসে এ দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অনলাইনে ভাষণ দেওয়ার দুঃসাহসের প্রতিবাদে এই ভাঙচুর করা হয়।’
বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদল কর্মী বোরহান হোসাইন বলেন, ‘আমরা এ দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া শিকড় উপড়ে ফেলব।’
আরও পড়ুন – ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চক্রান্তে ভারতীয় মিডিয়াও জড়িত: প্রেস সচিব
যে এক্সকাভেটর দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি ভাঙা হয়, সেটির মালিক বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি এলাকার বাসিন্দা ভজন চৌধুরী। তিনি বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহা শুক্রবার রাতে তাঁর এক্সকাভেটরটি ভাড়া করেন। আজ সকালে এক্সকাভেটরটির চালক শামীম সেটি নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ’ এলাকায় নিয়ে যান।
তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ভজন চৌধুরী নামে কাউকে চেনেন না। তিনি বর্তমানে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ’ ভাঙার বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম রসুল ঘটনাটি সম্পর্কে জানেন, তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।