স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাস ও শিল্পকলা বিশারদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এনামুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রফেসর ড. এনামুল হকের ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং গভীর শ্রদ্ধাবোধ।মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি লন্ডন এবং নিউইয়র্ক সফর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
রোববার রাজধানীতে নিজে বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ড. এনামুল হকের সহকর্মী (রিসার্চ ফেলো) সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, স্যার তিনটা ৩৫ মিনিটে ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। সকাল থেকে তিনি কুরবানির যাবতীয় কাজ তত্ত্বাবধান করে দুপুরে খেয়ে ঘুমাতে যান। ঘুমের মধ্যে সাড়া না পেয়ে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এনামুল হকের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। তার মেয়ে আগামী মঙ্গলবার প্রবাস থেকে ফিরলে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সাইফুল।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রফেসর ড. এনামুল হক ২০১৭ সালে একুশে পদক ও ২০২০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া ভারতের পদ্মশ্রী পদকেও ভূষিত হন এই গুণীজন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় ড. এনামুল হক সাহিত্য পত্রিকা উত্তরণের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন প্রচলনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
প্রত্নতত্ত্বে বিশেষ অবদানের জন্য বন্ধুপ্রতীম ভারত সরকারও তাকে ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পদক প্রদান করে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।