স্টাফ রিপোর্টার : মহা সংকটে পড়ে গেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। একটি বড় দল বলছে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। আরেকটি দল বলছে, নির্বাচন হবে। উপায় খুজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেরা সমঝোতা করে বর্তমান পদ্ধতির বদলে নতুন কোনো ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ সোমবার সকালে ধারাবাহিক সংলাপের দ্বিতীয় দিনে ইসলামী ফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা বলেন সিইসি।আগামী জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করাই বর্তমান কমিশনের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিএনপি যেটা দাবি করছে, সেটি তাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে, সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে, সেটি সংবিধানে প্রতিফলন হতে হবে। তা না হলে সংবিধানের সঙ্গে মিল থাকবে না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনটা হোক, সেটি যেভাবেই হোক। আমার-আপনার ইচ্ছামতো হোক, তা নয়—গ্রহণযোগ্যভাবে একটা নির্বাচন হোক। আমরা চাই—একটা সুন্দর সংসদ গঠন হোক, সরকার গঠন হোক।’
এ ছাড়া সংলাপে ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে জানান। তারা কমিশনকে শতভাগ নিরপেক্ষ আচরণের তাগিদ দেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হয়েছে গতকাল রোববার। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ শেষ হবে ৩১ জুলাই।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অতীতে হয়তো কোনো কারণে সেই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেটি প্রয়োজনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।’ সাথে যোগ করেন, ‘বিএনপিসহ কয়েকটি দল আগাম অনাস্থা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কী বিশেষ সুবিধা নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট হলাম, তা বুঝতে পারছি না। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা বা অন্য কোনোভাবে নতুন ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনে আসে, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’