স্টাফ রিপোর্টার \ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির টিকিট ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা প্রদানে ‘কোনো ধরনের অবহেলা ছিল না’ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বুকিং অপারেটর ‘সহজ ডটকম’।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে ‘ব্যাখ্যা’ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে অনিয়মসহ রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন মহিউদ্দিন রনি। তার অভিযোগ, গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের আসন নিবন্ধনের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা সংস্থা বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে তার পিন কোড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেনের কোনো আসন পাননি, এমনকি কেন টাকা নেওয়া হলো, তার কোনো রশিদও দেওয়া হয়নি।
এ অভিযোগের পর সহজ ডটকমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এ জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ পাবেন ভুক্তভোগী রনি।
সহজ ডটকম তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, টিকিট ইস্যুর সময় সহজ জেভি টাকা না পাওয়ায় টিকিট ইস্যু হয়নি। রনির মোবাইল ওয়ালেটে টাকা ‘ফ্রিজ’ হয়েছিল। যা পরের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তিনি ফেরত পেয়েছেন।
ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে সহজ ডটকমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রনি গত ১৩ জুন সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিট পোর্টালে ঢাকা-রাজশাহীর চারটি টিকিট কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ওই সময় তার এমএফএস অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তিনি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে তার মোবাইল ওয়ালেটে তিন হাজার টাকা জমা করেন। এরপর ৯টা ৩৭ মিনিটে টিকিটের দুই হাজার ৬৮০ টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রানজেকশনটি সম্পন্ন করতে না পারায় তার উক্ত টিকিট বুকিংটি বাতিল হয়ে যায়। সহজের ডিজিটাল রেকর্ড অনুসারে উল্লিখিত তারিখে ওই গ্রাহকের নামে কোনো টিকিট ইস্যুই হয়নি।
এরপর রনির মোবাইল ওয়ালেটে টাকা ফ্রিজ হয়েছিল। সেবা প্রদানে কোনো ধরনের অবহেলা ছিল না শর্তে উল্লেখিত সময়ের আগেই টাকা ফেরত পেয়েছিলেন রনি। পরে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রনির টিকিটের কোনো টাকা তার মোবাইল ওয়ালেট থেকে সহজ জেভির অ্যাকাউন্টে জমাও হয়নি। বরং টাকাটি তার নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ফ্রিজ অবস্থায় ছিল। পরে স্বয়ংক্রিয় রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতিতে তার টাকা আনফ্রিজ হয়েছে।
সহজ ডটকমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়ে, রনির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের গোপন পিন নম্বর ছাড়াই টাকা কাটা হয়েছে, এ অভিযোগটি সঠিক নয়। তার মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার এ বিষয়ে সব তথ্য-প্রমাণ এরইমধ্যে তার কাছে উপস্থাপন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সহজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মালিহা কাদির বলেন, টিকিট সংক্রান্ত যে কোনো ভোগান্তি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। যদিও মহিউদ্দিন রনির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের এবং ব্যাংকের পেমেন্ট রিকনসিলিয়েশন পলিসির সব ধরনের নিয়ম মেনেই যথাযথ সেবা প্রদান করা হয়েছে। সহজ লিমিটেড কোনোভাবেই তার প্রতি দায়িত্বের অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করেনি।