স্টাফ রিপোর্টার : বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকারের মিতব্যয়ী পদক্ষেপের সাথে যুক্ত হলো গ্রামীণফোন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে ও কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে প্রতি বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোনের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু হয়েছে।
বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এর এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত মিতব্যয়ী পদক্ষেপের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’এর মতো একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার ও দায়িত্বশীল কর্পোরেট নাগরিক গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের অত্যাধুনিক পরিবেশ-বান্ধব হেডকোয়ার্টার্স জিপি হাউস প্রতি বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে এবং কর্মীরা হোম অফিস করবেন। গ্রামীণফোন ইতোমধ্যেই সারা দেশে তাদের চলমান কার্যক্রমে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক একটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আসছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্ব একটি মারাত্মক জ্বালানি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি ও সরবরাহের ঘাটতি অর্থনীতির উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করছে, যার প্রভাব আমাদের জীবনেও পড়ছে। এই কঠিন সময়ে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিচক্ষণ পদক্ষেপের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিদ্যুতের সাশ্রয় করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং সপ্তাহে একদিন হোম অফিস চালু করেছি। আধুনিকীকরণের মাধ্যমে এআই ও আরপিএ এর সাহায্যে তৈরি আমাদের সর্বশেষ অপারেটিং মডেল আমাদের কর্মীদের হোম অফিস করতে সক্ষম করেছে এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য নিরবছিন্ন সেবা নিশ্চিত করছে। এছাড়াও আমরা প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখার জন্য সাইকেল চালানো, হাঁটা বা কারপুলিং এর মতো অভ্যাস তৈরিতে উৎসাহিত করছি, যা বর্তমান চ্যাঁলেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি কার্বন পদচিহ্ন হ্রাসে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে।’
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত করতে বাধ্য হচ্ছে, যার ফলে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।