স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে উজবেকিস্তান উপ-প্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করেন। শুক্রবার বিকেলে এ স্বাক্ষাৎ হয়।
শুক্রবার উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদল নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় এসে পৌঁছান। সফরের শুরুতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর একই হোটেলে ইন্টার গভমেন্টাল কমিশন মিটিং অন ট্রেড অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশনে অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে এবং দুপুর ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী।
দুই দিনের সফরে উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ ঢাকায় আসেন। ৩৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় আসেন। তার এ সফরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল, দ্বৈত কর পরিহার, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, এলসি জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও উজবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তাসখন্দের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়।
উজবেকিস্তানের দিক থেকে এটি খুব বড় একটা সফর। উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর এ সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উজবেক প্রতিনিধিদলে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী (সিভিল এভিয়েশন), পররাষ্ট্র উপ-মন্ত্রী, কৃষি উপ-মন্ত্রী, বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক উপ-মন্ত্রী, টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান (উপ-মন্ত্রী পদমর্যাদা), লেদার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং ফার্মাসিউটিক্যালস এজেন্সির পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা থাকছেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উজবেকিস্তানে সফর করেন। এছাড়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী গত কয়েক বছরে উজবেকিস্তান সফর করলেও সে অর্থে দেশটির সরকারি মন্ত্রী কিংবা বড় পর্যায়ের কোনো নেতার সফর হচ্ছে না। তাই এ সফরটিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে দূতাবাস।