Search
Close this search box.

তুলা-ঔষধ-চামড়া-ট্যুরিজমে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখছেন সালমান এফ রহমান

তুলা-ঔষধ-চামড়া-ট্যুরিজমে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখছেন সালমান এফ রহমান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে তুলা-ঔষধ-চামড়া-ট্যুরিজমে বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেছেন, উজবেকিস্তানের কাছে কাঁচামাল, বিশেষ করে তুলা আছে। যৌথভাবে এই খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করা যায়, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আরেকটা খাত হচ্ছে ওষুধ শিল্প। তাদের ওখানে ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টর অতটা ডেভেলপ করে নাই, যেটা বাংলাদেশে হয়েছে। আমরা সেখানে সরাসরি ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারি। আমাদের চামড়া শিল্পে তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। পর্যটন খাতে দুই দেশই পারস্পরিক অংশগ্রহণে আগ্রহী।

শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘উজবেকিস্তান-বাংলাদেশ থার্ড ইন্টাগভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড অ্যা ইকোনমিক কোঅপারেশন’ শিরোনামের বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়েও ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। উজবেকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী জামশেদ খোদজায়েভ।

বৈঠকের পর সালমান এফ রহমান বলেন, উনাদের কাছে কাঁচামাল, বিশেষ করে তুলা আছে। আমাদের এখানেও এক্সপার্টিজ আছে। সুতরাং যৌথভাবে এই খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করা যায়, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন বিটিএমএ কাজ শুরু করেছে। আরেকটা খাত হচ্ছে ওষুধ শিল্প। তাদের ওখানে ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টর অতটা ডেভেলপ করে নাই, যেটা বাংলাদেশে হয়েছে। আমরা সেখানে সরাসরি ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারি, আবার বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানিও হতে পারে। আমাদের চামড়া শিল্পে ও তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে, সেটা নিয়েও আমরা আলাপ করেছি।

পর্যটন খাতে দুই দেশই পারস্পরিক অংশগ্রহণে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। ওরা হচ্ছে ল্যান্ডলকড দেশ, তাদের কোনো সমুদ্রসৈকত নেই। আমরা বলেছি, আমাদের কক্সবাজার তাদের জন্য ভালো একটা ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন হতে পারে।

সালমান এফ রহমান বলেন, ওরা বলেছে, তাদের সামারখান্দ-বোখারা নগরীতে একটা জিয়ারা ট্যুরিজম সম্ভাবনা রয়েছে। এটা একটা প্যাকেজ হতে পারে। ওখান থেকে লোকজন আসলো কক্সবাজারে, আর আমরা এখানে থেকে গেলাম সামারখান্দ-বোখারায়।

গত বছরের শেষের দিকে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলসহ উজবেকিস্তান সফর করেছিলেন। পরে উজবেক প্রতিনিধিদল এসেছিল বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, গত ১০ বছরে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছয় গুণ বেড়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে যেখানে ৪.৩৬ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল, সেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ২৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার।

একই সময়ে দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ কমতে থাকায় একসময়ের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এখন প্রবৃদ্ধিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ উজবেকিস্তান থেকে ৬২২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। ওই বছর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬১৭ মিলিয়ন ডলার। আর বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাত্র ৪৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করার ফলে ১৯ মিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত থেকেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ