শিশুদের করোনা টিকা ১১ আগস্ট থেকে দেওয়া হবে
স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনো প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন পর আর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যাবে না। সংরক্ষিত এসব টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আর দেওয়া যাবে না বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার দুপুরে নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সাথে জানান, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ১১ আগস্ট থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। এছাড়া আগামী ২৬ আগস্ট থেকে পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা সংরক্ষিত আছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই যারা এখনো টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিতে হবে। সারাদেশে সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু এখনো অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি। তাদের জন্য বলতে চাই, দ্বিতীয় ডোজ না নিলে কিন্তু তারা বুস্টার ডোজও পাবেন না।
এখনও যারা প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি। না নিলে কিন্তু পরে আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এখন যারা করোনায় মারা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগ করোনার টিকা নেননি বা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি।
করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেশে আসে গত ৩০ জুলাই। ওই দিন বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। সরকার গত এপ্রিল মাসেই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ।