স্টাফ রিপোর্টার – খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে অংথোয়াই মারমা (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় উপজেলার দুর্গম দেওয়ানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অংথোয়াই মারমা উপজেলার যৌথ খামারের বুদুংপাড়ার কংহ্লাউ মারমার ছেলে। তিনি প্রসিত বিকাশ খিসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) স্থানীয় সংগঠক। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনটির জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
সন্ত্রাসীদের হামলায় গুইমারায় ইউপিডিএফ সংগঠক অংথোই মারমা নিহতের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির গুইমারা ও রামগড়ে ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে একই সময়ে দুটি স্থানে অতর্কিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তরা খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের গুইমারার বাইল্যাছড়ি ব্রিজের ওপর কলাবোঝাই ট্রাকে আগুন দেয়। একই সময় সড়কে টায়ার পুড়িয়ে অবরোধ সড়ক করে। ফলে আধাঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এদিকে একই সময়ে জেলার জালিয়াপাড়া-রামগড় সড়কের দাতারাম পাড়া রাস্তার মাথা এলাকায় একদল পাহাড়ি যুবক পাথরবোঝাই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ট্রাকের অধিকাংশই পুড়ে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সকালে সাংগঠনিক কাজে যাচ্ছিলেন অংথোয়াই মারমা। ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুইমারার দেওয়ান পাড়া নামক স্থানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
অংগ্য মারমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দিয়ে একের পর এক ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীকে হত্যার কাজে লেলিয়ে দিচ্ছে। অংথোই মারমাকে হত্যার ঘটনাও তারই অংশ।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশীদ জানান, লাশ উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি পিস্তল পাওয়া গেছে। দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এখনও মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতে পারে।