Search
Close this search box.

বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র্র

বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র্র

স্টাফ রিপোর্টার – শান্তিপূর্ণ-স্থিতিশীল এক বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, বহুমাত্রিকতা, সহিষ্ণুতা, সুশাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে (নিজ দেশে) ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দানে বাংলাদেশকে সাহায্য করা অব্যাহত রাখবে দেশটি। এ দেশে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতেও সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (আইবিএফবি)’র বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) উৎস হিসেবে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে এবং এ দেশের একক বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অর্থনীতি হলো এমন একটি খাত যেটিতে সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে দূরে যাওয়া যাবে। নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

তবে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ হবে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভিয়েতনামের মতো আরও দেশ রয়েছে যারা বিদেশি ব্যবসার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকবে। বিদেশি ব্যবসায়ীরা এ দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদির যথাযথ সুবিধার পাশাপাশি নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও স্থিতিশীলতার বিষয়টিও নজরে রাখবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি দুর্নীতির ধারণা সূচকের (সিপিআই) ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭ নম্বরে স্মরণ করিয়ে দিয়ে এলডিসি উত্তরণের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে নজর দিতে বলেন। রেগুলেটরি রিফর্ম, দুর্নীতি বন্ধ, ট্যাক্সেশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি ভাবতে বলেন। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সমস্যার উৎপত্তি পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার জন্য নয় বরং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার দিক থেকে সমঝোতার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি থামাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে কনফারেন্স স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)’র চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। এ ছাড়াও, আইবিএফবি’র সভাপতি হুমায়ুন রশীদ, সহ-সভাপতি এম এস সিদ্দিকী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ